মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম
অনেক দিন আগে একটা দুরবীন সংগ্রহ করেছিলাম । দুরবীনের প্রসঙ্গ আসলে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিষশাস্ত্র – এর প্রসঙ্গ আসে । এদুটার মধ্যে পার্থক্য আছে । জ্যোতির্বিজ্ঞান হলো আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র সম্পর্কে জানার বিজ্ঞান। গ্রহ নক্ষত্রে রকেটে করে যাওয়াই হলো জ্যোতির্বিজ্ঞানের চুড়ান্ত ধাপ । জ্যোতির্বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের বলা হয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী । আর জ্যোতিষশাস্ত্রবিশারদকে বলে জ্যোতিষী । তারা গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্হান দেখে মানুষের ভাগ্য সম্পর্কে ধারণা দেন । জ্যোতিষশাস্ত্র বিজ্ঞান নয় এবং এই বিষয় ধর্মবিরোধী ।
আমি আমার দুরবীন দিয়ে প্রায়ই আকাশ দেখি ।
আকাশে খালি চোখে আমরা কি পরিমান তারা দেখি ?
আকাশে জ্বল জ্বল করা বস্তুগুলোকে আমরা তারা বলে থাকি । সন্ধ্যায় আকাশে ফুটে উঠতে থাকে অসংখ্য তারা । ধীরে ধীরে তারাগুলো আরও বেশি স্পষ্ট হতে থাকে । খালি চোখে বড়জোড় পাঁচ হাজার তারা দেখা যায় । জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দুরবীন দিয়ে দেখেন লক্ষ লক্ষ তারা । যারা তারাভরা আকাশের আলোকচিত্র নিয়ে কাজ করেন তারা বলেন তারার সংখ্যা কোটি কোটি ।
আকাশপর্যবেক্ষণেরজন্যতারাচিত্রযাতেএন্ডোমিডাগ্যালাক্সিরঅবস্হানদেখানো
নক্ষত্র আসলে কি ?
তারা আছে অনেক রকমের । কোনটির আলো আছে । কোনটির নেই । যাদের আলো আছে তাদের আমরা নক্ষত্র বলি । আমাদের সূর্য হলো নক্ষত্র । তার আলো আছে । তার আলোর হতে আমরা আলো পাই ।
গ্যালাক্সী কি ?
বিজ্ঞানীরা বলেন এক লিখে বারটা শূণ্য লিখলে যে সংখ্যা হয় তার সমপরিমান নক্ষত্র নিয়ে একটা গ্যালাক্সি হয় । নক্ষত্র হচ্ছে এমন তারা যার নিজের আলো আছে, যেমন আমাদের সূর্য ।
গ্রহ :
এসব নক্ষত্রগুলোকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু তারা ঘুরে, তাদের বলা হয় গ্রহ । আমাদের পৃথিবী সূর্যেরই একটি গ্রহ । কারণ পৃথিবী সূর্যের চার দিকে ঘুরে । আমরা যে গ্যালাক্সিতে বাস করি তার নাম মিল্কিওয়ে । কারণ সূর্য মিল্কিওয়ের অংশ ।
মিল্কিওয়েগ্যালাক্সিতেআমাদেরসূর্যেরঅবস্হান
খালিচোখেগ্রামেরআকাশে মিল্কিওয়েগ্যালাক্সি
মিল্কিওয়ে নাম করণের কারণ :
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি যা গ্রীক দেবী হেরা-র বুকের দুধ হতে সৃষ্টি হয়েছে । তার শিশু ছেলে দেবতা হারকিউলিস-কে দুধ খাওয়ানোর সময় তার দুধ আকাশে পড়ে যেয়ে এই গ্যালাক্সি সৃষ্টি হয়েছে । প্রাচীন গ্রীক পুরাণে এই কথাই লেখা আছে । মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ২০০ হতে ৪০০ বিলিয়ন নক্ষত্রের সমাবেশ । আমাদের সূর্য হলো এই মিল্কিওয়ে গ্রালাক্সির একটি নক্ষত্র । ১০০ কোটি-তে ১ বিলিয়ন হয় । সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এই গ্যালাক্সিতে কত নক্ষত্র আছে । সাধারণত ১ লিখে ১২ টা শূণ্য লিখলে যত সংখ্যা হয় ঠিক সেই পরিমান নক্ষত্র থাকে একটা গ্যালাক্সিতে । আর নক্ষত্রের সাথে ঘুরে গ্রহ । আর গ্রহের সাথে ঘুরে উপগ্রহ । সুতরাং এই বিষয়টা নিয়ে ভাবতে গেলে আর পড়াশোনা করতে গেলে একটা সময় জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনাটা একটা নেশার মতো মনে হবে ।
আজ বন্ধুরা । এপর্যন্তই ।